নারীরা যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড ক্র্যাম্পে অনেক বেশি ভোগেন। তখন স্বস্তির জন্য ব্যথার ওষুধ খেয়ে নেন অনেকে। এতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে পেইন কিলার খেলে দেখা দিতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এর বদলে বেছে নেওয়া যেতে পারে ঘরোয়া প্রতিকার। হলুদ মেশানো দুধ পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতে একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এটি গোল্ডেন মিল্ক নামেও পরিচিত। দুধের সঙ্গে হলুদ ছাড়াও মেশাতে পারেন আদা ও অন্যান্য মসলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময়ে হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার ৫ উপকারিতা-
১. রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে
হলুদ একটি পুরনো মসলা যা বিভিন্ন রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। হলুদের হলুদ-কমলা রং থেকে আসে কারকিউমিন যা এর সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান। এটি রক্ত পরিশোধন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে, বিশেষ করে পিরিয়ডের সময়। এ সময় হলুদ খেলে তা রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং শরীরে আয়রনের মাত্রা উন্নতি করে।
২. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
হলুদ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া হলুদ দুধ খেলে তা প্রদাহ কমায় এবং আমাদের ধমনীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। কারকিউমিন হলো হলুদের সক্রিয় উপাদান যা এই সমস্ত উপকারিতা সম্ভব করে তোলে। এটি কোলেস্টেরল ৩০% এবং ট্রাইগ্লিসারাইড ৪০% কমায়, রক্ত সঞ্চালন স্তরের উন্নতি করে এবং এর শক্ত হওয়া হ্রাস করে। রক্ত প্রবাহের কারণে সৃষ্ট ব্যথা যা এনজাইনা নামে পরিচিত সেটি কমাতেও কাজ করে।