কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে তীব্র কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সকালেও গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক জানান, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে ছিল হিমেল বাতাস। বেলা বাড়লেও রোদের দেখা নেই। হিমেল বাতাসে এবং রোদের অভাবে শীত অনুভূত হয়েছে বেশি। ফলে কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা মানুষদের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সদর উপজেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, শীত আবার বেড়েছে। রোববার সূর্য দেখা গেছে দুপুরে। আজও (সোমবার) মনে হচ্ছে সেই অবস্থা হবে।
শীত বাড়ায় ফসল নিয়ে বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা। হানুরবাড়াদি গ্রামের কৃষক দোয়াল্লিন বলেন, “শীত কখনো বেশি কখনো কম হলে ফসলে রোগবালাই বেশি দেখা দেয়।”
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে গত রোববার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিও ওপরে এবং ১৫ ডিগ্রির নিচে ছিল। সোমবার তাপমাত্রা কমে নেমে এসেছে ১২.৬ ডিগ্রিতে।