চাকরি নিশ্চিত হলে বিদেশে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয় সরকার। কত টাকা ব্যয়ে, বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে, কত বেতনে, কী কী সুবিধা ও শর্তে বাংলাদেশি কর্মী চাকরি করতে যাচ্ছেন– প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতিতে তা লেখা থাকে স্পষ্ট করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে কর্মীরা চাকরি পাচ্ছেন না। বিদেশে পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীকে বিমানে উঠিয়েই আর দায়িত্ব নিচ্ছে না। প্রবাসে মানবেতর জীবনযাপন করে তাঁকে দেশে ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভনে বিদেশে পাঠিয়ে এই কর্মীদের দেশে ঠকাচ্ছে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। আর কাজ না থাকলেও ‘ভিসা বিক্রি করে’ কর্মীদের বিদেশ নিয়ে ঠকাচ্ছে নিয়োগকারী কোম্পানি। এতে যোগসাজশ রয়েছে দেশের দালাল এবং বিদেশের কোম্পানির।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রবাসী দিবস। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি সরকারের অনুমোদন পেলেও এবারই প্রথম পালিত হচ্ছে জাতীয়ভাবে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধাখ্যাত বিদেশে থাকা কর্মীরা। তাদের গুরুত্ব দিতেই এ বছর থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের পরিবর্তে প্রবাসী দিবসে জোর দিয়েছে সরকার। তবে নির্বাচনের কারণে এবারও আয়োজন কম। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মাননা দেওয়া হবে প্রবাসী সিআইপিদের। হবে আলোচনা সভা।