শীতের মৌসুমে পড়ে হাঁস খাওয়ার ধুম। কারণ এ সময় হাঁসের গায়ে চর্বি জমে বেশি। হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা বা ছিট রুটি খেতে খুবই মজাদার। তবে অনেকেই হাঁসের মাংস খেতে পারেন না গন্ধের কারণে। কিছু টিপস মেনে রান্না করলে হাঁসের মাংসে গন্ধ থাকবে না। জেনে নিন রেসিপি।
প্রথমে একটি মসলার পেস্ট বানিয়ে নিন। এজন্য দুটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ, ১ টেবিল চামচ আস্ত জিরা, ১ টেবিল চামচ আস্ত ধনিয়া ও কয়েকটি শুকনা মরিচ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এক কেজি হাঁসের মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এর সঙ্গে মেশান মসলার পেস্ট। আরও মেশান দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, স্বাদ মতো লবণ ও ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া। মাংসের সঙ্গে সব মসলা ভালো করে মেখে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। সম্ভব হলে আরও কিছুক্ষণ রাখতে পারেন। তবে এক ঘণ্টার কম রাখবেন না। ঠিক মতো ম্যারিনেশন করলে হাঁসের মাংস থেকে কোনও ধরনের বাজে গন্ধ আসবে না।
চুলায় প্যান বসিয়ে ১/৪ কাপ তেল দিন। খুব বেশি তেল দেবেন না। কারণ হাঁসের মাংস থেকেও বের হবে তেল। তেলে ৬টি এলাচ, ৭টি লবঙ্গ, কয়েকটি দারুচিনি ও দুটি তেজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। ১৫ সেকেন্ড ভেজে নেওয়ার পর ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিন। হালকা বাদামী করে ভেজে নিন পেঁয়াজ। এই পর্যায়ে মসলা মাখা মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রাখুন চুলায়। এর মধ্যেই যথেষ্ট পানি বের হবে মাংস থেকে, ফলে আলাদা করে পানি যোগ করার কোনও প্রয়োজন নেই। নেড়েচেড়ে আবারও ঢেকে দিন। এভাবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় নিয়ে মাংস কষিয়ে নিন। যখন তেল উঠে আসবে এবং মসলা নিচে জমে যাবে, তখন বুঝবেন যে মাংস কষানো হয়েছে। কষানোর সঠিক প্রক্রিয়ার উপরে কিন্তু নির্ভর করে মাংসের স্বাদ। প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে মিডিয়াম লো করে দিন চুলার আঁচ। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। ধীরে ধীরে সেদ্ধ হওয়ার ফলে মাংসের মধ্যে মসলার স্বাদ ঢুকবে পুরোপুরি। ফলে কোনও ধরনের দুর্গন্ধ থাকবে না। মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার হাঁস ভুনা।