প্রান্তিক মানুষের সংগ্রাম বনাম কোটিপতি ক্লাব

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯

চরম অস্বস্তি নিয়ে গার্ডিয়ান–এর ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩-এর প্রতিবেদনটা পড়ছি। শিরোনামটা এমন দেয়া হয়েছে, যাকে বলা যেতে পারে ক্লিক-বেইট, যুক্তরাজ্যের জন্য যে নারী ক্রিসমাসের জাম্পার বানাচ্ছেন, তিনি যৌনকর্মী হয়ে যাচ্ছেন খরচ জোগানোর জন্য। কাহিনি বাংলাদেশের। কেরানীগঞ্জের নদীর ধারের।


এক গার্মেন্টসশ্রমিক, তারা ছদ্মনাম দিয়েছে রুবি রফিক। তাঁর ১৬ বছরের এক ছেলে আছে, ১৩ বছরের এক মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা। রোজ রাতে সন্তান ঘুমিয়ে পড়লে ঘর ছেড়ে বের হন, রাস্তায়-বাজারে দাঁড়ান, খদ্দের খোঁজেন। ৪০০ টাকা পান, ২০০ পান।


একবার এক খদ্দের তাঁকে ৫০০ টাকা দেবার কথা বলে নিয়ে যায়, ১০ জনের দলে হাজির করে, তাঁকে মারধর করে। করুণ কাহিনি। তাঁর এই কষ্টকর জীবনের কারণ, যে আট হাজার টাকা তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করে পান, তা দিয়ে তাঁর সংসার চলে না।


প্রথমে তিনি নিজের খাওয়া কমিয়ে দিয়ে সন্তানদের খাওয়াতেন, পরে তা–ও সম্ভব হচ্ছে না। শেষে তিনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রাতে ঘর থেকে বের হওয়া শুরু করেন।


গার্ডিয়ান বলছে, তিনি এবং তাঁর মতো শ্রমিকেরা সেই সব কারখানায় কাজ করেন, যারা যুক্তরাজ্যে বড় বড় ব্র্যান্ডে পোশাক সরবরাহ করে, ক্রিসমাসের সান্তার ছবি সেলাই করা জাম্পার তারাই বানায়। এই পোশাকশ্রমিকেরা পৃথিবীর সবচেয়ে কম মজুরি পান। প্রতি ঘণ্টায় তাঁদের বেতন আধা পেনিরও কম।


অস্বস্তির কথা বলছিলাম। ৪০ লাখ গার্মেন্টসকর্মীর দুঃখ-কষ্ট, দাবি-সংগ্রাম, বৈষম্য-শোষণের কথা বলার জন্য যে একজন রুবি রফিকের কাহিনি গার্ডিয়ান বলল, তার মর্মকথা, তার অন্তর্নিহিত আবেদনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েও এ কথা কি বলা যায় না যে, এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের সংগ্রামশীল পোশাককর্মীদের সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছাবে পৃথিবীব্যাপী।


আমি বলছি না যে রুবি রফিকের গল্প বানানো। কিন্তু ৪০ লাখ পোশাককর্মী রুবি রফিক হয়ে গেছেন, এই রকম ভুল সরলীকরণের বিপদ কি এই প্রতিবেদন সৃষ্টি করে না?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us