গত কয়েক বছর ধরে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আনন্দ রাত না গড়াতেই পরিণত হচ্ছে বিষাদে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। ফানুস থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে দুই শতাধিক আগুন ও আতশবাজির শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় গত বছর। এবার কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি কিংবা ওড়ানো/ফোটানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেই ব্যবস্থা নেবে তারা।
২০২২ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসাবাড়ির ছাদও। কিন্তু তাতেও থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপন। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল ঢাকার আকাশ। একযোগে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোও থেমে ছিল না। বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা মহানগরী। অনেক শিশু ও বয়স্করা সে শব্দে অসুস্থ পর্যন্ত হওয়ার খবর মেলে। ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা রোধে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।