আকস্মিকভাবেই গত মাসে ‘শ্রম অধিকার লঙ্ঘনকারীদের’ বিরুদ্ধে ট্রেড পেনাল্টি বা বাণিজ্যে জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপের নির্দেশনা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ‘মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ স্মারকে সই করেন। এ ঘোষণায় বেশ আতঙ্ক তৈরি হয় দেশের পোশাকখাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র আসলে নিষেধাজ্ঞা, না জরিমানার কথা বলেছে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও চাইলে দেশটি বিধিনিষেধসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এটি ট্রেড পেনাল্টি (বাণিজ্যে জরিমানা) না ট্রেড স্যাংশন্স (বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা) তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শ্রমিক নেতারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যবসা ধরে রাখতে হলে তাদের মেমোরেন্ডাম (স্মারকপত্র) বিবেচনায় নিতে হবে। সব ছাপিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা যদি দেওয়াই হয়, সেটাকে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলাই একমাত্র পথ হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।