বেশ কয়েক বছর ধরে ন্যাটোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বেশকিছু ইস্যু নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে তুরস্কের টানাপোড়েন চলছে। ফলস্বরূপ, তুরস্ক ন্যাটো জোট ত্যাগ করতে পারে এমন কথাও শোনা গেছে। সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যা নিয়ে একচোখা নীতি গ্রহণের জন্য ন্যাটো ও তুরস্কের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসে টান পড়েছে।
পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ন্যাটোতে তুরস্কের থাকা উচিত কিনা এ প্রশ্নও উঠেছে। সম্প্রতি তুরস্কের রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া বক্তব্য তারই ইঙ্গিত দেয়। এ নিয়ে তুরস্কে ইতোমধ্যে ব্যাপক জনমতও তৈরি হয়েছে। প্রায় সত্তর বছর ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর যে অন্যায় আচরণ করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অনেকদিন ধরেই ইসরাইলের প্রতি জনমত গঠনে যুক্তরাষ্ট্র মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন ইস্যুতে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটের দেশগুলোকে বাধ্যও করছে। শুধু তাই নয়, তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্য দেশগুলোর ওপর চাপিয়েও দিচ্ছে।