স্তন ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। তবে এর জন্য প্রয়োজন সময়মতো যথাযথ চিকিৎসা। বর্তমানে স্তন ক্যান্সারের পরিপূর্ণ চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। শতকরা ৯৯ ভাগ স্তন ক্যান্সার নারীদের হয়ে থাকে আর এর বিপরীতে পুরুষের আক্রান্তের হার মাত্র ১ শতাংশ। অতএব সংখ্যায় কম হলেও জেনে রাখা ভালো পুরুষরাও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় ।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত কারণে নারী মৃত্যুর দ্বিতীয় স্থানে আছে স্তন ক্যান্সার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে বিশ্বে প্রায় ১৩ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় আর প্রায় ছয় লাখের অধিক নারী এ কারণে মৃত্যুবরণ করে । বয়স, জাতি, বর্ণ ও অঞ্চলভেদে এ রোগে আক্রান্তের হারে ভিন্নতা রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের থেকে এশিয়ায় আক্রান্তের হার তুলনামূলকভাবে কম। নারীদের জীবনাচার, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নয়ন আর অগ্রগতির ফলে গত তিন দশকে এ ক্যান্সারে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমে আসছে।
বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীদের ১৯ জন স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। আর প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী এ ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ আক্রন্তের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় সাত হাজার মৃত্যুবরণ করে। এ ক্যান্সার প্রতিরোধ আর নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন নারীদের সচেতনতা। আর এর জন্য স্তন ক্যান্সারের কারণগুলো নারীদের জানা খুবই প্রয়োজন। এসব মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।