দেশের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গত সপ্তাহে একটি ব্যাংকে ৪ লাখ মার্কিন ডলারের আমদানি দায় পরিশোধ করে। প্রতি ডলারের জন্য নির্ধারিত দাম ১১০ টাকা হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকে জমা দিয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তবে এর বাইরে প্রতি ডলারে আরও ১৩ টাকা হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে দিতে হয়েছে ৫২ লাখ টাকা। তাতে ওই আমদানিকারকের ৪ লাখ ডলারের দায় পরিশোধে প্রতি ডলারের দাম পড়েছে ১২৩ টাকা। এভাবেই বাংলাদেশের সব ব্যাংকের নথিপত্রে এখন আমদানিতে ডলারের সর্বোচ্চ দর ১১০ টাকা। তবে বাস্তবে ডলারের দাম আরেক।
একই অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। অবশ্য প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে কিছুটা কম দামে ডলার কিনতে পারলেও সাধারণ ব্যবসায়ীদের আমদানি দায় পরিশোধে ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দরে ডলার কিনতে হচ্ছে। একইভাবে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে বড় ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ব্যাংকের কাছ থেকে সুবিধা পেলেও সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনেককেই ডলার-সংকটের কারণে ঋণপত্র খুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।