বলা হয়, মহাবিশ্বের যত জটিলতা আছে, দুটি পরিণত মানুষের সম্পর্ক তার চেয়েও জটিল। সেই সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে কিছু নিয়ম আপনাকে মানতেই হবে। সেগুলোই প্রকাশিত হয়েছে দ্য রিলেশনশিপ এক্সপার্টে জেমি ব্রনস্টাইনের লেখায়। চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝামাঝি কোনো অবস্থান নেই
সঙ্গীকে পুরোপুরি বিশ্বাস করুন, অথবা সেখান থেকে বের হয়ে আসুন। মাঝামাঝি কোনো অবস্থানে থাকবেন না। সঙ্গীকে অবিশ্বাস করে সেই সম্পর্কে থাকা মানে কেবলই জটিলতা আর অশান্তি ডেকে আনা। সম্পর্কে ‘ইনসিকিউরিটি’র কোনো স্থান নেই। একজন আরেকজনকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, অথবা সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন।
নিজের সঙ্গে ‘বিষাক্ত’ সম্পর্ক রেখে অন্যের সঙ্গে কখনোই ‘স্বাস্থ্যকর’ সম্পর্ক হবে না
আপনার নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটা যদি মজবুত না হয়, তাহলে অন্য কারও সঙ্গে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সবার আগে নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া পরিষ্কার করে নিন। নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। নিজেই আগে নিজের জন্য যথেষ্ট হোন। মাঝেমধ্যে উপভোগ করুন নিজের সঙ্গ। অন্যের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করবেন না, যেটা আপনি নিজে নিজের জন্যই করতে পারছেন না। যখন নিজের সঙ্গে আপনার নিজের সম্পর্ক, বোঝাপড়া ঠিক থাকবে, তখনই আপনি আরেকজনের কাছ থেকে ঠিক কী চান, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিজের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক অন্যের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের পূর্বশর্ত। আগে নিজেকে ভালোবাসুন, তারপর অন্যকেও আপনার ভালোবাসার ভাগ দিন।
একটা সম্পর্কে থাকার সময়ে যদি আরেকটা সম্পর্কে জড়িয়েই পড়েন, তখন?
যদি একটা প্রেমের সম্পর্কে থাকার পরও আপনি কোনোভাবে আরেকটা সম্পর্কে জড়িয়েই যান তাহলে কী করবেন? বিভ্রান্তি আর বিষন্নতা এড়াতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। বিষয়টি নিয়ে সততার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করে প্রথমপক্ষকে জানিয়ে দিন। কেননা, প্রথম সম্পর্কে যদি সবকিছু ঠিকই থাকত, তাহলে আপনি কখনোই দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়াতেন না। প্রথম সম্পর্কে দূরত্ব থাকায় বা তৈরি হওয়ায় সেখানে আরেকজনের ঢোকার সুযোগ তৈরি হয়েছে।