ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁধের ব্যথায় ভোগেন। এর কারণ অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস বা ফ্রোজেন শোল্ডার। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এটি বেশি হয়ে থাকে। এর ফলে ব্যথার পাশাপাশি কাঁধের সংযোগস্থল শক্ত হয়ে পড়ে। পর্যায়ক্রমে রোগী হাত ওপরে ওঠাতে পারেন না, পিঠের দিকে নিতে পারেন না এবং জামাকাপড় পরতে পারেন না। এমনকি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতেও কষ্ট হয়।
কারণ
- আগেই বলা হয়েছে, রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা ফ্রোজেন শোল্ডারের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে গিয়ে আগে কখনো ব্যথা পেয়েছিলেন, কিন্তু গুরুত্ব দেননি; তা থেকেও এ ব্যথা হতে পারে।
- স্ট্রোকের (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) পর এ সমস্যা হতে পারে। সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলোসিস রোগে ঘাড় ও বাহুর ব্যথার কারণে রোগী হাতের নড়াচড়া কমিয়ে দেন। এতে ক্রমেই কাঁধের সংযোগস্থল (জয়েন্ট) শক্ত হয়ে যেতে পারে।
- চালক হঠাৎ কষে ব্রেক করলে গাড়ির যাত্রীরা নিজেদের রক্ষার জন্য হাতল বা কোনো কিছু শক্ত করে ধরে ফেলেন বা ধরার চেষ্টা করেন। এতে অনেকে ব্যথা পেয়ে থাকেন। যা পরে কাঁধ ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- বয়স চল্লিশের ওপর গেলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। এ সময় জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে যেতে থাকে। এ কারণে কাঁধের ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।