বিষের রাজ্য ঢাকার শহর

সমকাল নাভিদ সালেহ প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২২

যে মুহূর্তে আমি এই লেখাটি রচনা করছি, তখন ঢাকায় সময় ১৫ ডিসেম্বর, রাত ৩টা। এ সময়ে গাড়িঘোড়া প্রায় নিশ্চল থাকে; বন্ধ থাকে ইটভাটা। ফ্যাক্টরির বাতিও হয়তো নেভানো থাকে। অর্থাৎ রাতের এই সময় বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বনিম্ন হওয়ার কথা। বায়ুদূষণের সূচক এ মুহূর্তে ২৫৮ এবং পিএম২.৫-এর পরিমাণ ২০৮। এ নম্বরগুলো বোঝা শক্ত। তবে পিএম২.৫ (ক্ষুদ্র দূষক কণিকার পরিমাপ)-এর ভিত্তিতে এই দূষণকে একজন ধূমপায়ীর এক দিনে প্রায় ১০টি সিগারেট সেবনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর প্রত্যেক ঢাকাবাসী কমপক্ষে ১০টি সিগারেট সেবন করেছেন শুধু ঢাকার বাতাসে শ্বাস নিয়ে। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সিগারেট সেবনের এই মাত্রা যে বাড়বে, তা বলা বাহুল্য।


পাঠক, আমার এই তুলনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন– এই প্রত্যাশা রাখছি। আমি অবগত, সিগারেট সেবনকে আমাদের সমাজে ভালো চোখে দেখা হয় না। গুরুজনের সামনে তাই ধূমপায়ীরা সিগারেট লুকান। এটাই নিয়ম। তবে সিগারেটের যে কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা মিডিয়ায় সিগারেট সেবনরত অবস্থায় কাউকে দেখানো হলে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’– এই বাণীর সঙ্গে পাঠক নিশ্চয় পরিচিত। তাই ধূমপানে স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রার তুলনা আমাদের সবার ভেতর যে বোধোদয়ের জন্ম দেবে, তা শুধু বায়ুদূষণের সূচক দিয়ে বোঝানো অসম্ভব।


ঢাকার বায়ুদূষণ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে তা বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কোনো কোনো রিপোর্ট ঢাকাকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগর হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। এটি সত্য, ঢাকার দূষণ বছরের কোনো কোনোদিন দিল্লির দূষণের মাত্রাকেও হার মানাচ্ছে। 


বায়ুদূষণের সমস্যা বহুমাত্রিক। প্রথম সমস্যা হলো, এই দূষণ চোখে দেখা যায় না। গ্যাস বা পিএম২.৫-এর ক্ষুদ্র কণিকা যেমন খালি চোখে গোচর হয় না, তেমনি দূষিত বায়ু শহরের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে কখন কীভাবে যাত্রা করছে, তাও বোঝা যায় না। পাঠক হয়তো ধূম্রজালের মতো দৃশ্যমান বায়ুদূষণের ছবি মনে আনতে পারেন। সমস্যা হলো, দূষণ যখন সত্যিই চোখে দেখা যায় তখন তার মাত্রা স্বাস্থ্যহানিকর থেকে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ এই বোধোদয় হতে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। 
বায়ু কে বা কারা দূষিত করছে? বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর কী কী ঝুঁকি রয়েছে? বায়ু কি শুধু বহিরাঙ্গনেই দূষিত হয়, না বাড়ির ভেতরে, অর্থাৎ অন্তরাঙ্গনও বায়ুদূষণের শিকার হয়ে থাকে? ব্যক্তি এবং জাতির এই দূষণ মোকাবিলায় কী করণীয়? এসব প্রশ্ন আজ ওঠা জরুরি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us