সেই দুই বিদেশির দৃষ্টিতে

বিডি নিউজ ২৪ অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:২৯

এমন দুজন বিদেশির কথা জানি আমি, যারা আমার সঙ্গে আলাপচারিতায় বাংলাদেশের বিজয়ের দিনটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, উভয়ের অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠ টের পেয়েছিলাম ফোনে।


তাদের একজনের নাম ব্রুস উইলসন, অন্যজন ডব্লিউ এস ওডারল্যান্ড। ওডারল্যান্ড মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহীদের কাছে ব্রুসের তুলনায় অনেক বেশি পরিচিত। তিনি একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক।


আমি যখন ব্রুস উইলসনের কথা জানতে পাই এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করি, তিনি তখন বিলেতের এক হাসপাতালে শয্যাশায়ী। লন্ডনের সঙ্গে সময় মিলিয়ে যখন ফোনে পেয়েছিলাম, তখন ওখানে সকাল।


কী পরিচয় দেব? কী বলব? এসব দ্বিধা দূরে সরিয়ে সরাসরি বলেছিলাম আমি এক গর্বিত বাংলাদেশি। সিডনিতে থাকি। তাকে বলেছিলাম, আমি জানি তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস রণাঙ্গনে কাটিয়েছিলেন। মেলবোর্ন এজ পত্রিকার হয়ে নয় মাস যুদ্ধের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাদের একজন হয়ে ওঠা ব্রুস যে বিজয় দিবসে আত্মসমপর্ণের দিন তখনকার রেসকোর্সে ছিলেন, সে কথাও জানিয়েছিলাম তাকে।


ব্যস, তাতেই কাজ হলো। ব্রুস উইলসন শুরুতেই আমাকে চমকে দিয়েছিলেন জন্মগত পরিচয় এবং গোত্র-বর্ণ বিষয়ে তথ্য দিয়ে। আমি যে হিন্দু পরিবারে জন্মেছি, তা আমার নাম ও পদবিতে বোঝা কঠিন নয়; কিন্তু একজন বিদেশি কতটুকু জানলে বলে দিতে পারেন, আমি বৈদ্য সম্প্রদায় নামে পরিচিত বর্ণের কেউ। তাছাড়া সব কথাতেই আমি বারবার টের পেয়েছিলাম, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, এমনকী জনজীবন বিষয়েও অনেক কিছু তার নখদর্পণে।


হাসপাতালের বিছানায় শায়িত ব্রুস ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ওসমানী বা সেই মাপের কেউ সেদিন উপস্থিত না থাকাটা তাদের মতো বিদেশি সাংবাদিকদেরও ভালো লাগেনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীনের অনুপস্থিতিও পীড়া দিয়েছিল তাকে। তার ধারণায় পাকিস্তানি বাহিনী চায়নি এমন কিছু। আর ভারত তখন তাড়াতাড়ি আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া সারতে ব্যস্ত। তাদের মাথায় তখনো আমেরিকা-চীনের কথা ঘুরছিল। কারণ পাকিদের জন্য এ দুই পরাশক্তি কোনো আক্রমণ শানালে বা যে কোনো কিছু করলে এমন প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে। তাদের অনুমান যে মিথ্যা নয়, তার প্রমাণ বঙ্গোপসাগরে আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের আনাগোনা। যদিও পরে তারা মাছ ধরার জন্য এসেছিল—এমন ফালতু হাস্যকর অজুহাত দিয়ে চলে গিয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us