ইন্টারনেটের যুগে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী মুঠোফোন। ঘুম থেকে উঠে দিনের প্রথম কাজটাই হলো মুঠোফোনের নোটিফিকেশন চেক করা। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মুঠোফোনের গুরুত্ব কোনোভাবেই ছোট করা সম্ভব নয়। কিন্তু কারও কারও জন্য অতিরিক্ত মুঠোফোনপ্রীতি হয়ে উঠতে পারে হানিকর। শুধু স্বাস্থ্যঝুঁকি নয়, মুঠোফোনপ্রীতির প্রভাব পড়তে পারে দৈনন্দিন জীবনের সম্পর্কেও। কী করবেন, যদি আপনার সঙ্গী বেশি সময় দেন মুঠোফোনের স্ক্রিনে?
খোলাখুলি কথা বলুন
সম্পর্ক চাঙা রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে সরাসরি ও খোলাখুলি কথা বলা। অতিরিক্ত মুঠোফোনপ্রীতি যে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে তাঁকে জানান। মনে রাখবেন, এক দিনে এই অভ্যাস বদলে ফেলা সম্ভব নয়। আস্তে আস্তে নতুন অভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত করান। মুঠোফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে একসঙ্গে ‘কোয়ালিটি’ সময় কাটান। দুজন মিলে ডুব দিন কোনো সৃজনশীল কাজে।
সঙ্গীর কথা শুনুন
সব সময় যে সঙ্গীর মুঠোফোনপ্রীতিই সম্পর্কে ছেদ ফেলছে, ব্যাপারটা তেমন না–ও হতে পারে। এমনটা হতে পারে সঙ্গীর কথায় মনোযোগ না দেওয়া থেকেও। তাঁর কথায় মনোযোগ না দেওয়া থেকেই তাঁর মনে জন্ম নিয়েছে মুঠোফোনপ্রীতি। তাই সঙ্গীর প্রতিটি কথায় মনোযোগ দিন। তাঁকে শুনুন, বুঝুন। তাঁর মতামত, পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে বেড়াতে যান, নিদেনপক্ষে দুজন মিলে হাঁটতে বের হোন।