আয়ুষ্কাল শেষে নিজের সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে গিয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন মো. আব্দুল্লাহ কাফি মাসুম। তার একটিই মাত্র অটোরিকশা। সেটা প্রতিস্থাপনের জন্য প্রথমে ভাঙার জন্য সরকারি ফি ছাড়াও তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। পরে তিনি অটোরিকশা ব্যবসায়ী ও মালিকদের সংগঠনের মাধ্যমে করিয়েছেন।
মাসুম বলছিলেন, প্রথমে ভাঙার জন্য তাকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এরপর নতুন নিবন্ধন নিতে দিতে হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু ভাঙার পর অটোরিকশার ভগ্নাবশেষ তাকে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি।
তার এমন অভিজ্ঞতা শুনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অটোরিকশা বদলে অটোরিকশা নিতে গেলে বিআরটিএতে তিন ধাপে ঘুষ দিতে হয়। এর জন্য আলাদা রেট আছে। প্রথম ধাপে ভাঙতে দিতে হয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা, এরপর নতুন নিবন্ধন নিতে ২৫ হাজার ও ভাঙা অটোরিকশা ফেরত পেতে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট সার্কেলের অসাধু কর্মকর্তা ও অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতাদের যোগসাজশে ঘুষ নিয়ে এই কাজ করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ বছরে ১২ হাজার ৫০০ অটোরিকশা প্রতিস্থাপন ও মেয়াদ বাড়াতে ১১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে শুধু প্রতিস্থাপন করতেই ঘুষ নেওয়া হয়েছে প্রায় ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকনের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।