২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে যে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে, সাংবিধানিক ও আইনি ভাষায় একে ‘নির্বাচন’ বলে বর্ণনা করা হলেও, চলমান ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায় নিলে একে নির্বাচন বলে অভিহিত করা কঠিন। যে কারণে সবার মনেই প্রশ্ন, এই নির্বাচনে সরকারে লক্ষ্য কী? এরপরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী হবে?
যেকোনো নির্বাচনের সময় একধরনের অনিশ্চয়তা থাকে, জনগণের মনে প্রশ্ন থাকে—কোন দল কাকে প্রার্থী করছে, কে জিতবেন, দলগুলো কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কে বিজয়ী হবেন?
এসব প্রশ্নের কারণে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৯৯১ সালের পর জনমত জরিপের একটি ধারা গড়ে উঠেছিল। একাধিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের উদ্যোগে পরিচালিত এসব জরিপের দিকেও অনেকে চোখ রাখতেন। সেই ধারা ২০১৮ সালের আগেই হারিয়ে গেছে।
যাঁরা তত্ত্বগতভাবে গণতন্ত্র বিষয়ে গবেষণা করেন, যাঁরা গণতন্ত্রের একটি গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা এবং তার বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করতে চান, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মতপার্থক্য আছে। কিন্তু অন্তত এ বিষয়ে ঐকমত্য আছে যে গণতন্ত্র হচ্ছে এমন ধরনের সরকার বা রেজিম, যেখানে সরকারের পদগুলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পূরণ করা হয়।’