আজ ১০ ডিসেম্বর । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি পাবনা শহরের উপকণ্ঠে শিবরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী ও মাতা খায়রুন্নেসার স্নেহাচার্যে ছোট্ট শহর পাবনায় বেড়ে উঠেন। তাঁর স্মৃতিতে পাবনা শহর, জনপদের রাজনীতি এক গভীর জায়গা দখল করে আছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সরাসরি দলীয় হলেও তাঁর রয়েছে সিভিল সার্ভিসের এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ফলে একদিকে তিনি যেমন রাজনীতিবিদ অন্যদিকে ঝানু আমলা।
রাজনীতির দিক থেকে তিনি একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী । শুরু করেছিলেন পাবনা জেলার ছাত্রলীগের নেতৃত্বের মাধ্যমে। তাও আবার সরাসরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হয়ে। ঘটনার সময়কাল ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাস। ছয় দফা কর্মসূচিকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য সারাদেশে চলছে ব্যাপক গণসংযোগ। এই গণসংযোগের কারণে ১৯৬৬ সালের এপ্রিল মাসে উত্তরবঙ্গে ছয়দফার জনসমর্থনে বঙ্গবন্ধু এক সফরে বের হন। উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুর দিনই ১৯৬৬ সালের ৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবনায় আসেন। এইদিনেই আমাদের নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাক্ষাত পান মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি তখন সবেমাত্র এস এসসি পাস করেছেন।
অন্যদের মতো ছয়দফা নিয়ে অনেক উৎসুক। বিকেলে পাবনা টাউন হল ময়দানে জনসভায় যোগ দেবার আগে প্রতিবেশী পাবনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব বগা মিয়ার বাসায় হাজির হলেন। বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ পেলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু উপস্থিত নেতাদেরকে বললেন তাঁকেও যেন সভাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর স্নেহমাখানো সুর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে খানিকটা বিস্মিত করে ফেলে!