শীতকাল অনেকেরই একটি প্রিয় ঋতু। শীতে ডায়েটের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবারের বৈচিত্র্য থাকা প্রয়োজন।
▶ মাছ, মাংস, ডিমসহ প্রোটিন জাতীয় খাবার : পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এ সময় গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির প্রোটিন অর্থাৎ প্রাণিজ প্রোটিন যেমন, ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি খেতে হয়। প্রতিদিন দুইবেলা মাছ খেতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এছাড়া যারা এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা গরুর মাংস কিংবা মুরগির মাংস খেতে পারেন। গরুর কলিজা প্রোটিন জাতীয় খাবার যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
▶ ডিম : ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস যা মানবদেহকে সুস্থ ও কর্মকম রাখতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। গিঁটে গিঁটে ব্যথা যা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবে হয়। ডিম খেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
▶ দুধ ও দই : শীতকালে অনেকের গিঁটে গেঁটে ব্যথা কিংবা হাত-পা কামড়ানি দেখা দিতে পারে। এর জন্য দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারের বিকল্প নাই।
▶ ভিটামিন সি-যুক্ত সাইট্রাস ফল : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লেবু কমলালেবু ও মালটা জাতীয় ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত।