শীত মৌসুম চলে এসেছে। রাজধানীতে শীতভাব ততটা অনুভূত না হলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামে এখন বেশ ঠান্ডা। সাধারণত গরমের তুলনায় শীত আরামদায়ক ঋতু। তবে এ সময় বেশ কিছু বাড়তি রোগব্যাধি দেখা যায়। শীতে বাতাস ভারী থাকে।
সেই কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বাতাসের নিচের স্তরে নেমে আসে। এর ফলে মানুষের শরীরেও ভাইরাস সহজে ঢুকে যায়। এর জন্য ভাইরাসজনিত রোগ শীতে বেশি হয়। শীতকালীন কিছু শারীরিক সমস্যা ও সেটার প্রতিকার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
গর্ভবতীর লাইফস্টাইল কেমন হবে
শীতে গর্ভবতীদের সুস্থ থাকা জরুরি। শীতের প্রভাবে মা ও অনাগত সন্তানের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সেজন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। শীতে সাধারণত আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। গর্ভবতীরা এমন এক বিশেষ অবস্থায় থাকে যে, তাদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয় যেন ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া না হয়। যাদের হাঁপানি আছে, তাদের এ সময় হাঁপানির টান আরও বেড়ে যেতে পারে। শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই সবার ভেতর আলসে ভাব আসে। তাই গর্ভবতীর হাঁটাহাঁটিতে যেন ছেদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শীতে গর্ভবতী নিরাপদ থাকতে হলে যা করবেন-
* সুষম খাবার খেতে হবে
গর্ভকালীন নারীদের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের ওপরও। এ সময় মা যদি নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হন, তবে সন্তানও সুস্থ থাকবে এবং প্রসবকালীন জটিলতা ৯৫ শতাংশ কমে যাবে। শীতকালে বাজারে শিম, মুলা, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক সুলভমূল্যে কিনতে পাওয়া যায়। গর্ভবতীদের ভাত কম খেয়ে এ খাবারগুলো বেশি খাওয়া উচিত। আলু একটু কম খাওয়াই ভালো। কারণ, এতে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে। ফলের মধ্যে পেয়ারা, বরই, কদবেল, জলপাই, কামরাঙ্গা, কমলালেবু, আনার একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস, লোহা, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি।