পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তারা হতে পারতেন আদর্শ শিক্ষক। পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুদের শেখাতেন নীতি-নৈতিকতার পাঠ। অথচ তাদেরই কেউ কেউ জড়িয়েছেন চরম অনৈতিকতায়। জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তারা নকল করে পরীক্ষায় পাসের চেষ্টা চালিয়েছেন। জনপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়ার ছক কষেছিলেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্র চলে যায় কেন্দ্রের বাইরে। এর পর একটি চক্র দ্রুত প্রশ্নপত্রের সমাধান করে কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় যুক্তদের প্রচেষ্টায় তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতিতে জড়িত চক্রের ১৩ সদস্য, পরীক্ষার্থীসহ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধায় র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েছেন চক্রের ৩৭ জন। পাঁচজন কেন্দ্রের বাইরে থেকে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। তাদের মধ্যে রেলওয়ের কর্মী, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক রয়েছেন। আর রংপুরে ১১ পরীক্ষার্থীসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের তিনজন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পাঁচজন ছাত্রলীগ নেতা। এ ছাড়া বহিষ্কার করা হয়েছে ৮৩ জনকে। গতকাল প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।