শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০২২ বলছে, দেশে শিশুশ্রম বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ, এবং শিশুশ্রমিকদের ৭৭ শতাংশই ছেলে। আবার একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছেলেই পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশি শ্রমবাজারে। বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে পাড়ি জমানো শ্রমিকদের ৯৬ দশমিক ১ শতাংশই পুরুষ। মধ্যপ্রাচ্য আমাদের মূল শ্রমবাজার, যেখানে প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, এসব শ্রমিকের ৪৭ দশমিক ১৪ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলের ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও সার্বিক চিত্রটা কিন্তু এখনো সন্তোষজনক নয়। বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৩ অনুযায়ী, এখনো ১৮ বছর বয়সের আগেই ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে মা হন দেশের ২৮ শতাংশ নারী। আরেক সমীক্ষা অনুসারে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান বিভাগে নারী শিক্ষার্থী ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে ১ দশমিক ৪৬, মেডিসিনে শূন্য দশমিক ১৬ এবং ফার্মেসি শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এসব তথ্য আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে।