পনেরো বছরে সামিটের আয় হতে পারে অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকা

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪১

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বা এফএসআরইউ নির্মাণের খসড়া চুক্তি অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। টার্মিনালটি নির্মাণের কাজ পেয়েছে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (এসওএসসিএল)। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় অনুমোদিত খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনাল চালুর পর থেকে ১৫ বছর মেয়াদে দৈনিক ৩ লাখ ডলার (চুক্তিতে উল্লিখিত বিনিময় হার অনুযায়ী ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ) রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পাবে সামিট। 


সামিট গ্রুপসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি টার্মিনাল থেকে তাদের আয় হবে ডলারে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণ, বিভ্রাট ও মেরামতের জন্য ড্রাই ডকিং করা হলে যে কয়দিন বন্ধ থাকবে, সে কয়দিনের জন্য কোনো চার্জ পাওয়া যাবে না।


আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতিটি এলএনজি টার্মিনাল বছরে গড়ে পাঁচদিন রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এর বাইরেও প্রতি পাঁচ বছরে একবার দেড় থেকে সর্বোচ্চ দুই মাসের জন্য আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য বন্ধ রাখা হয়। সে অনুযায়ী, কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ বছরে টার্মিনালটি বন্ধ রাখতে হতে পারে সর্বোচ্চ ২৪০ দিন (আট মাসের সমান)। সেক্ষেত্রে ১৫ বছরে টার্মিনালটি চালু থাকবে অন্তত ৫ হাজার ২৩৫ দিন। দৈনিক ৩ লাখ ডলার হিসাবে (কর ও মূসক বাদে) এ সময় রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ বাবদ সামিটের আয় হবে অন্তত ১৫৭ কোটি ৫ লাখ ডলার। চুক্তি অনুমোদনের সময়ে এতে উল্লিখিত বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা) ১৫ বছরে টার্মিনালটি থেকে রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ বাবদ সামিটের আয় দাঁড়াবে অন্তত ১৭ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সামিটকে এ অর্থ ডলারে পরিশোধ করবে সরকার। সেক্ষেত্রে মুদ্রাটির বিনিময় হার বাড়লে এ বাবদ সরকারের ব্যয় হবে আরো অনেক বেশি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us