রাঙামাটির নানিয়ার তইন্নাছড়ি এলাকায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। জব্দ অস্ত্রের মধ্যে ছিল এসএমজি, চায়নিজ রাইফেল, এইচই এমজি বোমা ও তিনটি ম্যাগাজিন। এ ছাড়া ১৪১ রাউন্ড এসএমজির গুলি এবং ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলিও ছিল। এর আগে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছিল সেনাবাহিনী। সে অভিযানেও বিপুল অস্ত্র ও গোরাবারুদ উদ্ধার হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী নানা ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৬ বছর কেটে গেলেও এখনও পাহাড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয়।
এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়াও পাহাড়ে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে এসব অস্ত্র গ্রুপগুলো ব্যবহার করছে। বছরে তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজির পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
চুক্তির আগে ও পরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন এক সময় পাহাড়ের একটি সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা ওরফে সুদর্শী চাকমা। প্রীতি কুমার চাকমা গ্রুপের সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন শুভ মঙ্গল। পরে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন। শুভ বলেন, ‘পাহাড়ে এখনও চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমরা যখন সশস্ত্র গ্রুপে ছিলাম তখন গ্রামে গিয়ে নগদ টাকা, ধান-চাল ও নানা ধরনের জিনিসপত্র চাঁদা তুলতাম। এসব দিয়ে দল চলত। সবার কাছে অস্ত্র ছিল। এখনও অনেকের কাছে হাতিয়ার রয়ে গেছে। যাদের কাছে হাতিয়ার আছে তারা তো চাঁদাবাজি করবেই। গ্রুপ সক্রিয় রাখতে চাঁদা তুলতে হয়। নতুন কিছু গ্রুপের কথাও এখন শোনা যাচ্ছে। অনেকের হাতে দেখি উন্নত সব অস্ত্র। এসব তারা কোথায় পায়?’