'বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী। এই বাণীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। নারী-পুরুষ উভয়ই সাফল্য-অর্জনে দেশের সম্মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো বাড়িয়ে তুলছেন প্রতিনিয়ত। নারী-পুরুষ উভয়ে দেশের জন্য সমানভাবে লড়লেও সুযোগ-সুবিধা, দৃষ্টিভঙ্গি আরো নানা বিষয়ে রয়েছে তারতম্য।
ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের সুদীর্ঘ প্রতিবেদনে ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের ক্ষমতায়ন, সমাজ পরিবর্তনে (বাল্যবিবাহ) খেলাধূলার ভূমিকা,নারীদের বঞ্চনার পাশাপাশি নানা ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছেন।
সমাজ পরিবর্তন ও বাল্যবিবাহ রোধে ক্রীড়াঙ্গন
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম এক উজ্জ্বল উদাহরণ। নারী ফুটবল দলের অনেকেরই ছিল না ঘর-বাড়ি। তাদের পরিবার তিন বেলা খাবার জোগাতেই হিমশিম খেত। দারিদ্র্যের কষাঘাতে সেই সমাজে বাল্যবিবাহ ছিল নিয়মিত ঘটনা।
ফুটবলের মাধ্যমে নারীরা সেই চিত্র পরিবর্তন করেছেন। তারা ফুটবলের মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক মর্যাদা অর্জন করেছেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবে পরিবারকে কিছুটা স্বচ্ছলতা এনে দিতে পেরেছেন। নারী ফুটবলাররা আঞ্চলিক পর্যায়ে কয়েক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশেষত অ-১৬ নারী ফুটবল দল দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে দুই বার এশিয়ার শীর্ষ আটের লড়াইয়ে ছিল। সাফ অঞ্চলে বাংলাদেশ অ-১৫, ১৮, ১৭ কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন। নারীদের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত করেছেন বেশ কয়েকবারই৷ এর মাধ্যমে গৃহহীণ পরিবারের গৃহ বা দিনমজুর বাবার পেশাও বদল হয়েছে।