খান হাসান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাজধানীর কাঁঠালবাগানে অবস্থান বিদ্যালয়টির। এখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি খরচে পড়ার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারির পর থেকে প্রতিবছর বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েদের বেলায় কমার সংখ্যাটা আরো বেশি। এর জন্য প্রধানত দায়ী করা হচ্ছে বাল্যবিবাহকে।
শিক্ষকদের দেওয়া তথ্য বলছে, বছর পাঁচেক আগেও বিদ্যালয়টিতে গড়ে ৭০০-৯০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। করোনা মহামারির ধাক্কায় গত কয়েক বছরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমতে কমতে ৩৫০ থেকে ৪০০তে নেমে এসেছে। এর বড় কারণ হচ্ছে— সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি শেষ করার আগে শতকরা ৫০ ভাগ মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে।
নাসিমা আক্তার নামে এক শিক্ষিকা ঢাকা পোস্টকে জানান, এখানে যারা পড়ে তাদের বেশিরভাগ গরীব ঘরের সন্তান। কোভিডের পর শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ একটা প্রধান কারণ। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অনেক মেয়ে হঠাৎ করে যেন বড় হয়ে যায়। কখনো দেখি— একটা মেয়ে হঠাৎ করে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। পরে খবর পাই তার বিয়ে হয়ে গেছে!