বিদেশে মারা যাওয়া স্বামীর মুখ দেখতে চান আফিয়া-সুমিরা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২২

সৌদি আরব থেকে স্বামীর লাশ দেশে আসবে, মুখটা একবার দেখবেন এ আশায় দিন, মাস পার করছেন আফিয়া খাতুন, ইয়াসমীন বেগম ও সুমি আক্তার। পরিবারের আবেদনের পর সরকারি নথিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাশ কে গ্রহণ করবেন, সেখানে সুমি বা ইয়াসমীনদের নাম লিখে দেওয়া হয়েছে। তবে লাশই তো দেশে আসছে না।  


সুমি আক্তারের স্বামী মো. জাহিদুল মারা গেছেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি, আফিয়া খাতুনের স্বামী মোহাম্মদ হানিফ ১৬ জুন এবং ইয়াসমীন বেগমের স্বামী কাজী সালাউদ্দিন মারা গেছেন ১৪ আগস্ট।


স্বামীর লাশ দেশে আনার জন্য আফিয়া প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কাছে গত ৬ জুলাই আবেদন করেন। এরপর বোর্ডের পক্ষ থেকে গত ১১ জুলাই হানিফের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কাউন্সেলর (শ্রম) বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে নিয়োগকর্তার খরচে জরুরি ভিত্তিতে হানিফের মরদেহ দেশে পাঠাতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি মৃত কর্মীর বকেয়া বেতন–ভাতা, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও বিমা বাবদ পরিবার কোনো সহায়তা পাবেন কি না—সেটাও জানাতে বলা হয়। একই প্রক্রিয়ায় সুমি ও ইয়াসমীন আবেদন করেছেন।


শুধু মৃত স্বামীর মরদেহ দেশে আনা নয়, আফিয়া–সুমিদের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। জাহিদুল, হানিফ ও সালাউদ্দিন সৌদি আরব যাওয়ার আগে লাখ লাখ টাকা ঋণ করেছিলেন। আশা ছিল, সেখানে আয় করা টাকা দেশে পাঠাবেন, ঋণ পরিশোধ করবেন। এখন আফিয়া–সুমি–ইয়াসমীনের কাঁধে সেই ঋণের বোঝা।


এই নারীদের কেউ এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা সন্তান আর সংসার সামলাতে কাজ জুটিয়ে নিয়েছেন। ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা মৃত স্বামীর মুখটা শেষবারের জন্য দেখার। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে না।


এ খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের আইনকানুনে জীবিত অভিবাসী শ্রমিকেরা যতটা গুরুত্ব পেয়েছেন, মৃত শ্রমিকেরা ততটাই অবহেলিত রয়ে গেছেন। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us