উচ্চমূল্যে গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ার পর এখন দ্রুত কমে আসছে দাম। যে বিক্রেতারা ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতেন, হাজির করতেন নানা যুক্তি, সেই তারাই এখন ৬০০ টাকা বা তার চেয়ে কমে বিক্রি করে পোষাতে পারছেন।
ক্রেতারা বলছেন, ‘অতিরিক্ত মুনাফার ফাঁদে’ পড়েছেন বিক্রেতারা। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন তারা দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে এখন ‘ক্রেতার ঐক্য’ চেয়ে জোর আলোচনা।
আহমেদ ফয়েজ নামের একজন মাংসের দোকানে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারির ছবি শেয়ার করে ফেইসবুকে লিখেছেন, “আজ গরুর মাংসের দোকানগুলোতে খুব চাপ। কোথাও কোথাও লম্বা লাইন। দীর্ঘদিন পর মাংস খাবে বহু মানুষ।”
মাংস ব্যবসায়ীদের সমিতির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে চাহিদা কমে যায়, তাই বাধ্য হয়ে এখন দাম কমাতে হচ্ছে।
খামারিদের একজন নেতা জানান, গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ার পর গত কয়েক মাসে গরুর খাবারের দামও অনেকটাই কমেছে। এ কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ কমায় তারা কম দামে বাজারে গরু ছাড়ছেন। এটাও মাংসের দাম কমার এক কারণ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর নিত্যপণ্যের দরে ঊর্ধ্বগতির যে ধারা দেখা দিয়েছিল তাতে ভুগতে থাকা দেশবাসী চলতি নভেম্বর থেকে কিছুটা স্বস্তিতে আছে। মাছ, সবজি, ডিম ও মাংসের দাম কমে আসছে। এর মধ্যে গরুর মাংসের দরপতন নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল আলোচনা।