সরকার যদি চাইত

ঢাকা পোষ্ট কামরুল হাসান মামুন প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:১৯

সরকার যদি চাইত তাহলে তারা শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানিত ও আকর্ষণীয় করতো। তা তো করেই না উল্টো প্রাথমিক শিক্ষকদের রাষ্ট্রের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বানিয়ে রেখেছে।


শিক্ষকদের যে বেতন দেওয়া হয় তা এত সামান্য যে তারা জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ে যার একটি হলো ক্লাসে কম পড়িয়ে বা ইচ্ছে করে খারাপ পড়িয়ে, বেশি নম্বর দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কিংবা কোচিং-এ পড়তে বাধ্য করা। এর মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কটার সাথে অর্থ জড়িয়ে যায়।


শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে আর সম্মানের উঁচু স্থানে রাখে না। শিক্ষকদের এইসব কর্মকাণ্ডের জন্য অনৈতিকতা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে।


সরকার চাইলেই শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বছর বছর না কমিয়ে বাড়াতে পারতো। ইউনেসকোর তথ্যমতে, একটি দেশের জিডিপির কম পক্ষে ৫.৫ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া উচিত সেইখানে আমরা দিয়েছি ১.৭৬ শতাংশ।


এতে কি মনে হয় সরকার শিক্ষার উন্নতিতে আগ্রহী? প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ছে, নতুন স্কুল-কলেজ হচ্ছে আর এর ফলে খরচ বাড়ছে কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দ কমছে।


সরকার যদি চাইত তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ঢুকাতো না। শিক্ষকরা শিক্ষকতার চেয়ে রাজনীতি বেশি করে। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগও হয় রাজনৈতিকভাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন আর প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে চলে না। সেই নেতৃত্ব চলে গেছে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাছে।


স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নির্বাচিত হয় রাজনৈতিকভাবে। ফলে পুরো সিস্টেমটাই পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। এই শিক্ষকদের দিয়ে কীভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন সম্ভব?


সরকার চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষকদের সেবক হিসেবে কাজ করতো কর্মকর্তা হিসেবে না। মন্ত্রণালয়ে কোনো শিক্ষক যদি যায় দেখবেন কীভাবে তার প্রতি ব্যবহার করা হয়। যতভাবে অসম্মান করা যায় ঠিক ততভাবেই করা হয়। কারও সাথে দেখা করতে চাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখে।


শিক্ষকদের বদলি ও প্রমোশন ওখানে। তাদের পেনশনের জন্য যেতে হয়। আর ওখানে গিয়ে অসম্মানের সীমা থাকে না। শিক্ষকরা কতটা নিগৃহীত হয় তা দেখার জন্য একদিন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)-এ গিয়ে সারাটা দিন কাটালেই বুঝতে পারবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us