খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, পুনঃতফসিল করেও অর্থ আদায় করতে দেরি হওয়ায় এর বিপরীতে মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষণ করা ও নতুন আমানত সংগ্রহে ভাটা দেখা দেওয়ায় প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে নয়টি ব্যাংক।
সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে মোট ২৮ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি এবং দীর্ঘ সময় ধরে তারল্য সংকটে থাকা বেসরকারি খাতের ছয়টি ব্যাংক রয়েছে। তবে এবার বিদেশি ও বিশেষায়িত কোনো ব্যাংকের নাম নেই।
এসব ব্যাংকের কারণে সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সেপ্টেম্বর শেষে মোট ২৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময়ে শ্রেণিকৃত ঋণের হার দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে।