ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় একের পর চুরি ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে রেলপথে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলে কর্মরতরা।
বারবার চুরির ঘটনার পেছনে নাকশকাতা আঁচ করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। যদিও এসব ঘটনায় ‘টনক নড়েছে’ না পুলিশের; মাদক বিক্রেতা ও টোকাইদের দুষছেন তারা।
রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার বিভিন্ন স্টেশন থেকে রেলপথের সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের মোটর চুরির হিড়িক পড়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রায় ‘চার কোটি টাকার’ মোটর চুরি হলেও জড়িতদের কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। এমনকি উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া একটি মোটরও।
ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি আবার রাতের আঁধারে বিভিন্ন রেলপথের নাটবল্টুসহ নানা ধরনের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা হলেও জড়িতরা রয়েছেন ‘ধরাছোঁয়ার বাইরে’।
এ বিষয়ে জানতে লাকসাম রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি মুরাদুল্লাহর বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি স্থানে রেললাইনের নাটবল্টুসহ যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় এরই মধ্যে থানায় একটি মামলা হয়েছে ও আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগের কয়েকটি মামলার আসামি গ্রেপ্তার ও আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।”