বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি থেকে একদল শিক্ষার্থী এসেছিলেন। আমার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন, ‘এই হচ্ছে মিলি, ও যখন স্কুলে পড়ে, তখন তার বিয়ে হয়ে যায়। তবে সে থেমে যায়নি। লেখাপড়া শেষ করে এখন সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। থেমে না যাওয়া, হার না মেনে নেওয়াই বাংলাদেশ।’
লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কাউটিং ও খেলাধুলা ছিল আমার দুরন্ত শৈশব-কৈশোর। পরিবারে আর্থিক সংকট থাকলেও তিন সন্তানের লেখাপড়ার চাকা সচল রাখতে তৎপর ছিলেন আমাদের মা–বাবা। হঠাৎ পারিবারিক সিদ্ধান্তে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমার যখন বিয়ে হয়ে গেল, সবাই একবাক্যে বলেছিলেন, মেয়েটার ভবিষ্যৎ শেষ! লেখাপড়া তো হবেই না, জীবনটাও শেষ হয়ে গেল। এত পারব না, হবে না, সম্ভব না শুনে আমার কেবল মনে হয়েছিল, পারতে আমাকে হবেই। লেখাপড়া শেষ করে নিজের পরিচয় আমাকে তৈরি করতেই হবে।