উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার ছয়টি উপজেলায় ব্যাপক আকার ধারণ করেছে আর্সেনিক দূষণ। এ অঞ্চলের ভূগর্ভের পানিতে অতিমাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে একটি উপজেলায় সহনশীল মাত্রায় রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ আর্সেনিক মানবদেহের জন্য সহনশীল। সেখানে জেলার টিউবওয়েল বা ভূগর্ভের পানিতে সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে যা মানবদেহের জন্য ভয়ানক ক্ষতির কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্সেনিক হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ। ভূগর্ভে আর্সেনিকের সৃষ্টি হয়। নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত আর্সেনিক খাবার পানির সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হয় দূষণ। আর্সেনিক আক্রান্ত হলে মানুষের চামড়ার ওপর ছোট ছোট কালো দাগ এবং হাত ও পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। কিছুদিন এভাবে থাকার পর কোনো কোনো রোগীর চামড়া ও প্রস্রাবের থলি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার আরো কারো লিভার ও ফুসফুসের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে। ফুসফুসের অসুখে কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্টের ফলে অনেকে ভালোভাবে কাজকর্ম করতে পারেন না। শরীরে দুর্বলতাও দেখা দেয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন শেখ সুফিয়ান রুস্তম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আর্সেনিক একটি মারাত্মক বিষ। এটি শরীরে প্রবেশ করলে কিডনি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য অনিরাপদ পানি পান থেকে বিরত থাকা ভালো। আর যদি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে অন্তত পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।’