অনলাইনে বন্ধুত্ব গড়ে দামি উপহার পাঠানো, স্বর্ণে বা বিটকয়েনে বিনিয়োগ ও আকর্ষণীয় উপার্জনের আশ্বাসসহ নানা ফাঁদে ফেলে মানুষের কাছ থেকে অর্থ বের করে নেওয়ার ঘটনা কিছুদিন পরপরই আলোচনায় আসে। এ ধরনের ঘটনায় অনেক বিদেশি নাগরিকের সম্পৃক্ততাও পাওয়া যাচ্ছে।
এর বাইরে ব্যাংকের এটিএম বুথে জালিয়াতি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইনে ক্যাসিনো, অপ্রচলিত মাদকের কারবার, জাল মুদ্রা তৈরি, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, সোনা চোরাচালান ও মানব পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও অনেক বিদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন মামলায় গত ১০ বছরে আসামি হয়েছেন ৩৩ দেশের ৭২৬ নাগরিক। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাইজেরিয়ার, ৯১ জন। এরপর রয়েছে পাকিস্তান (২৮ জন) ও ক্যামেরুনের (১৭ জন) নাগরিক। এর মধ্যে ১৪ দেশের ১৩৭ নাগরিক বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই এ দেশে এসেছেন ব্যবসায়িক ও ভ্রমণ ভিসায়। কেউ কেউ ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসায় এসে অবৈধভাবে রয়ে গেছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশিদের অনেকে বাংলাদেশে ঢুকেই পাসপোর্ট নষ্ট করে ফেলেন, আবার অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্ট ফেলে দেন অথবা পাসপোর্ট হারানোর কথা বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর জিডির সুবাদে অবৈধভাবে থাকার সুযোগ নেন। গ্রেপ্তার বা মামলার আসামি হলে বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিয়েও তাঁরা এ দেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ নেন।