আরব সাগরের পাড়েই মেরিন ড্রাইভ। মুম্বাইয়ে প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। এই সড়ক ধরেই যেতে হয় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। সেই পথই বুধবার রূপ নিল যেন সমুদ্রে। দুপুরের বেশ আগে থেকেই আকাশী-নীল জার্সি পরা হাজার হাজার দর্শকের জোয়ার। মাঠের ভেতরের আবহ সহজেই অনুমেয়! সেই উচ্ছ্বাস আরও বর্ণময় হয়ে উঠল মাঠের ক্রিকেটে। রোহিত শার্মার উড়ন্ত সূচনার পর ভিরাট কোহলির রেকর্ডময় সেঞ্চুরি, শ্রেয়াস আইয়ারে বিধ্বংসী শতরান আর মোহাম্মদ শামির রেকর্ড গড়া ৭ উইকেট। সবকিছুর ওপরে ভারতের জয়!
দীপাবলি শেষ হলেও পটকা, আতশবাজি জমিয়েই রেখেছিলেন মুম্বাইবাসীরা। ম্যাচ শেষ হতেই কানে আসতে থাকল পটকার আওয়াজ, আকাশে দেখা গেল আলোর ঝলকানি। ‘ইন্ডিয়া… ইন্ডিয়া’ স্লোগানে মুখরিত চারপাশ। যে মাঠে এক যুগ আগে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ভারত, সেই মাঠেই তারা পৌঁছে গেল আরেকটি শিরোপার মঞ্চে। ‘পারফেক্ট টেন’- অপ্রতিরোধ্য পথচলায় টানা ১০ জয়ে তারা পা রাখল নিজ দেশের বিশ্বকাপের ফাইনালে।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারাল ভারত। টানা পাঁচ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা কিউইদের প্রথম শিরোপার স্বপ্ন অধরা রইল এবারও।
টস থেকেই শুরু হয় ভারতের জয়ের পালা। ৫০ ওভারে তারা তোলে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান।
কোহলির রেকর্ড, শ্রেয়াসের ছক্কার তাণ্ডবের পথ ধরে এই উচ্চতায় পৌঁছে যায় ভারত। রেকর্ড কোহলির হলেও তা আসলে ব্যক্তিগত অর্জনের সীমানা ছাড়িয়ে স্পর্শ করে ক্রিকেটের সীমানাও। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির কীর্তি বলে কথা!
এতদিন রেকর্ডটি যার ছিল, সেই সাচিন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠে তার সামনেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি। গ্যালারি থেকে তালির পর তালিতে অভিবাদন জানালেন টেন্ডুলকার, জবাবে মাথা নত করে তাকে কুর্নিশ জানালেন উত্তরসূরি।