সারাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ স্থাপন একসময় ছিল স্বপ্ন। তা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে কাল শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে গিয়ে স্বপ্নের এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে পর্যটনে সুবাতাস বয়ে আনার পাশাপাশি বহুমাত্রিক অর্থনীতির জানালা খুলে যাবে।
বিনিয়োগ বাড়বে পর্যটন, কৃষি ও চিংড়ি শিল্পে। গতি পাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা। এ কারণে আনন্দে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারের মানুষ। সৈকত পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হওয়ায় জেলায় উৎপাদিত পণ্য কম মূল্যে যেমন পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি পর্যটক আগমনও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির কাজ প্রায় শেষ। ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এ স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে।