সাফল্যের জন্য নিবেদন লাগে, লাগে পরিশ্রমও। কিন্তু ছাইভস্মের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখি হয়ে ওড়ার জন্য পরিশ্রম ও নিবেদনের চেয়েও বেশি কিছু লাগে। সেই ‘বেশি কিছু’টা কী, গতকাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেটাই দেখালেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ‘নেভার সে ডাই’ মানসিকতা নিয়ে লড়াই করলেন, তাতে ‘সাহসী’ হয়ে ওঠায় পেলেন ‘ভাগ্যের সহায়তা’ও। অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় এক ইনিংস খেলে জিতিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে।
অথচ ৯১ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর খুব কম লোকই ভাবতে পেরেছিল—ম্যাচটি জিতবে অস্ট্রেলিয়া। আফগানদের দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যটাও ছোট ছিল না। কিন্তু অদম্য সাহসী ম্যাক্সওয়েল এঁকেছিলেন অন্য ছবি। গল্প-উপন্যাস কিংবা সিনেমার চিত্রনাট্যে যা দেখা যায়, বিশ্বকাপের মঞ্চে সেটাই করে দেখালেন ম্যাক্সওয়েল।
কী বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতেই না উইকেটে এসেছিলেন। ৫০ রানের আগেই অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর উইকেটে এসেছিলেন। পরের ৫০ রান করতে আরও ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এমন পরিস্থিতিতেই নিজের সেরাটা বের করে আনলেন ম্যাক্সওয়েল। লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন বলেই সতীর্থদের আসা-যাওয়া, দুবার ‘জীবন’ পাওয়া কিংবা পেশিতে টান পড়া—কোনো কিছুই তাঁকে আটকাতে পারেনি। ইস্পাতসম মানসিকতা নিয়ে লড়াই করে গেলেন। পেশিতে টান পড়ায় প্রাথমিক সেবা নেওয়ার পরও ডান পা ফেলতেই পারছিলেন না মাটিতে। কিন্তু গল্পের নায়কের মতো ম্যাক্সওয়েল গতকাল নায়ক হয়ে গেলেন ওয়াংখেড়েতে। এক পায়ে ভর করেই ব্যাট চালালেন, চার-ছয় হাঁকিয়ে দলকে নোঙর করালেন জয়ের বন্দরে।