হাটহাজারী পৌর সদরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন বীর প্রতীক অডিটরিয়ামের বারান্দায় ব্যাগে সারি করে রাখা সাতটি মরদেহ। পাশেই নির্বাক বসে ছিলেন সবিতা দাশ। তার দুই চোখে অশ্রু ঝরলেও কান্নার ছিল না কোনো শব্দ।
মরদেহগুলো তার অতি আপনজন- মেয়ে রীতা দাশ, চার নাতি-নাতনি আর দুই নিকটাত্মীয়ের। যাদের নিয়ে হয়ত কিছুক্ষণ পরই আনন্দে মেতে উঠতেন, এখন তাদের হারিয়ে কথা বলারও ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন সবিতা।
স্বামী প্রবাসে থাকায় চার সন্তান আর পরিবারের ব্যস্ততায় অনেক দিন বাবার বাড়ি যেতে পারেননি রীতা দাশ। ঠাকুরমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কারণে এক বছরের বেশি সময় পর সুযোগ আসে বাবার বাড়ি যাওয়ার। কিন্তু সন্তানদের নিয়ে সেই যাত্রাই হয়ে গেল রীতার শবযাত্রা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে চার সন্তান ও দুই নিকটাত্মীয়সহ মারা যান রীতা।