চারপাশের ধোঁয়াটে ভাব অনেকটা কেটে গেল দুপুর নাগাদ। সূর্যের হাসিতে তখন ঝলমলে চারপাশ। মাঠের নিরাপত্তাকর্মী থেকে শুরু করে মাঠকর্মী, সবার মুখেই খেলে গেল হাসির ঝিলিক। দূষণের এই শহরে দুপুরের সূর্যালোকও যে পরম কাঙ্ক্ষিত! দুঃসময়ের আঁধারে থাকা বাংলাদেশ দলও এখন সেরকমই আলোর আশায়। একটু সুসময়ের উষ্ণতা যদি মেলে দূষণের দিল্লিতে!
বিশ্বকাপকে ঘিরে মূল স্বপ্ন বা লক্ষ্য ভেস্তে গেছে অনেক আগেই। পয়েন্ট টেবিলে ভদ্রস্থ পর্যায়ে থাকার আশাও শেষ। বাংলাদেশের লড়াইটা এখন তলানির সেরা হওয়ার। শীর্ষ আটের মধ্যে থেকে যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গাটা মেলে! সেই চেষ্টায় মহাগুরুত্বপূর্ণ এক লড়াই সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দিল্লির আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
গত কয়েক দিনে এখানে মূল আলোচনা ছিল বায়ু দূষণকে ঘিরে। দূষণের মাত্রা আগের দিনের চেয়ে একটু কমই ছিল রোববার। তারপরও তা আসলে মারাত্মক পর্যায়ে। দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেই দূষণ নিয়ে অনেক কথা হলো। তবে দিল্লিতে আসার আগে থেকেই দুই দলই তো আক্রান্ত ক্রিকেটীয় ব্যর্থতার দূষণে!
সেই প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ৬ ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচেই ঠিক লড়াই জমাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ধাক্কার পর ধাক্কা তো খেয়েছেই, সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে সম্ভবত কলকাতায়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও বাজেভাবে হেরে গেছে তারা। এরপর পাকিস্তানের কাছেও পাত্তা না পেয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি এসেছে দলটি।