রাজনীতির লক্ষ্য হওয়ার কথা সাধারণ মানুষের কল্যাণ। কিন্তু আমাদের দেশে এখন কি মানুষের কল্যাণের কথা কোনো রাজনীতিবিদের চিন্তায় আছে? রাজনীতি এখন ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার সিঁড়ি। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিও এখন আর সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা বা দুঃখ-কষ্টের কথা ভেবে নির্ধারণ করা হচ্ছে না। এই যে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, এতে মানুষের কী পরিমাণ দুর্ভোগ বাড়ছে, তা কি বিরোধী নেতারা ভেবে দেখেছেন?
মন্ত্রীরা নাহয় সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আছেন বলে জনগণের কষ্টের কথা ভুলে গেছেন। বিরোধী দলের নেতাদের গায়েও কি বাজারের মূল্যবৃদ্ধির আঁচ একটুও লাগছে না?
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মানুষের সমান। এই ৪ কোটি মানুষ দাম দিয়ে ভালো পণ্য কিনতে পারেন।’
মন্ত্রীর নজরে আছেন ৪ কোটি সুখী মানুষ। ১৩ কোটি মানুষ যে ইউরোপীয় মানের তো দূরের কথা, দেশীয় মানেও জীবনধারণ করতে পারছে না, এটা তাঁর নজরে পড়ল না কেন?
অথচ সংবাদপত্রেও এ খবর ছাপা হয়েছে যে দেশে বেশ কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে; বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি। এর প্রভাব পড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। বেশির ভাগ মানুষ পরিবারের ব্যয়ভার মেটাতে অতিরিক্ত কাজে যুক্ত হচ্ছেন। যাঁদের কাজের সুযোগ নেই, তাঁরা খাদ্যতালিকায় কাঁচি চালিয়েছেন।