সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক কমানোর পর পাইকারি বাজারে চিনির দাম উল্টো বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত আছে। আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমন খবরেও এই পণ্যের দাম কমেনি। চাল ও আটার দাম দুই সপ্তাহ আগেই বেড়েছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে মুগ ডালের দামও এই সপ্তাহে বেড়েছে। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিনে এ বাজারে খোলা চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা। পাইকারি বাজারে চিনির দাম এখন ১৩০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, অতিরিক্ত স্বাদ–গন্ধ–রংবিহীন অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি টনে ১ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যান্য চিনির শুল্ক প্রতি টনে তিন হাজার টাকা। এই করহার কার্যকর হয়েছে, যা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে এক কেজি প্যাকেটজাত চিনির পাইকারি দাম ছিল ১৩১ টাকা, যা এখন ২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৩ টাকা। তবে পাইকারিতে দাম বাড়ার আগেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সরকার আগেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকায় নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দাম বাজারে কার্যকর হয়নি।