নৃশংসতার শিকার হয়ে যাঁরা প্রাণ হারান, তাঁদের মৃত্যুতে কষ্ট পায় না, এমন মানুষ বিরল। সব সহিংসতাই তাই নিন্দনীয় এবং সবারই তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা। গত ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় আরও সহিংসতার ধারাবাহিক ঘটনাক্রমে তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবাই উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত।
কিন্তু গাজায় দখলদার ইসরায়েলিদের নৃশংসতার সঙ্গে ঢাকার ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতার যাঁরা তুলনা টেনেছেন, তাঁরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তিসংগ্রামের সীমাহীন ত্যাগ এবং চলমান গণহত্যার প্রতি যে অবিচার করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ রকম চরম অসম তুলনার পটভূমিতে আমরা কি বোকার মতো জানতে চাইতে পারি, ঢাকার ঘটনায় কোন পক্ষকে কার সঙ্গে তুলনা করা হলো? মারমুখী পুলিশের যে নিষ্ঠুরতা এবং তাদের পাশাপাশি ‘শান্তি’র লাঠিধারীদের হামলা, হতাহতের পরিসংখ্যান, গ্রেপ্তার এবং গণহারে মামলার খবর ও ছবি দেখে ধন্দে পড়ে যাই। দুর্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে কি প্রতিপক্ষ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এগুলো থামবে না?