সন্তানকে অনলাইনে কতটুকু উপস্থাপন করবেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩২

নিলয়ের ( ছদ্মনাম ) বয়স সবে ১২। মায়ের সঙ্গে সারাক্ষণ খুনসুটিতে মেতে থাকে। ছেলের সঙ্গে এই খুনসুটি মুঠোফোনে ধারণ করে ফেসবুকে রিল আকারে পোস্ট করতেন মা। অল্প দিনেই দর্শকের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়। পরে ইউটিউবে নিজেদের যৌথ চ্যানেলও খোলেন। সেখানেও অনুসারীর সংখ্যা লাখ পেরিয়েছে ছয় মাস আগে। পেয়েছেন ইউটিউবের বাটনও। খুলে গেছে আয়ের পথ। আর তারকাখ্যাতি তো আছেই। স্বজনদের কাছে এই মা-ছেলে এখন তারকা।


কিন্তু ১০ বছর বয়সী তরী (ছদ্মনাম) এবং তার মা–বাবা শিমু ও পল্লবের ক্ষেত্রে উল্টোটা ঘটেছে। বিষয়টি উপভোগের পরিবর্তে তাঁদের জীবনে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। নানা বিষয় নিয়ে ভ্লগিং করে তরী। ভ্লগিং রীতিমতো তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ইউটিউবে তার চ্যানেলে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। তারকাখ্যাতিও এসেছে। এই খ্যাতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত মা–বাবাও। মা-বাবা প্রায় সব সময় আইডিয়া দিয়ে উৎসাহ দেন তরীকে। তার ভিডিও কনটেন্ট মা-বাবা মা শেয়ার করেন ফেসবুকে।


ফেসবুকের বিভিন্ন পেজের অ্যাডমিন তরীর সাক্ষাৎকার নিয়ে নিজেদের পেজে শেয়ার করেন। সেখানে ব্যবহারকারীদের হাজারো মন্তব্য আসতে থাকে। অনেক ভালো, উৎসাহমূলক মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যও আসে। আসে অশালীন মন্তব্যও। এসব দেখে তারকাখ্যাতি পাওয়া তরীর ভীষণ মন খারাপ হয়। অতটুকু বয়সেই সে বিষণ্ন হয়ে পড়ে। আগ্রহ হারিয়ে ফেলে পড়াশোনা, ভ্লগিংসহ সবকিছুতে। খেলতে চায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধিক সক্রিয় তরী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও অন্যমনস্ক হয়ে কথা বলে। সহপাঠীসহ সবার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করে। এসব নিয়ে তার মা-বাবাও অস্বস্তিতে পড়েছেন।


তরীর মা শিমু বলেন, ‘ছোট্ট মেয়েটা এত বিষণ্ন হয়ে থাকে, মেনে নিতে পারছি না। এখন মনে হয়, ওকে অনলাইনে উপস্থাপন করাটাই আমাদের ঠিক হয়নি। অনলাইনে না এলে, তারকাখ্যাতি না পেলে হয়তো এমন হতো না। সবকিছু স্বাভাবিক হতো। বিষয়টা এখন জটিল হয়ে উঠছে। কেন যে এমন হলো!’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us