নাজমুল হোসেন শান্তর বলা সেই কথাটা এখনো দাগ কাটে অনেকের মনে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে নিয়ে যে মাত্রায় সমালোচনা, ট্রল হয়, যেন নিজের দেশের বিপক্ষেই খেলছেন! গত বিপিএল থেকে শান্ত এত দুর্দান্ত খেলতে শুরু করলেন, সর্বশেষ এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে চোটে পড়ে ছিটকে পড়তেই তাঁকে নিয়ে উল্টো দর্শকদের হাহাকার।
ক্যারিয়ারের সেরা সময় যাকে বলে, শান্ত গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেটিই কাটিয়েছেন। বিপিএলের পর দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান পেলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে ও দেশের বাইরে রানের বন্যা বইয়ে দিলেন। এশিয়া কাপে ছিটকে যাওয়ার আগে তাঁর তিন ইনিংসে রান ছিল ৮৯, ১০৪ ও ৭৬। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে এ বছর খেলা ১৫ ওয়ানডেতে প্রায় ৫০ গড়ে ২ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটিতে শান্তর রান প্রায় ৭০০। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপটা রাঙাতে এর চেয়ে সেরা ছন্দে আর কীভাবে থাকতে পারেন একজন ব্যাটার?
ধর্মশালায় আফগানদের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শান্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে দারুণ কিছুর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কে জানত, ভালো শুরুর পরই ঘোর অন্ধকার সময় নেমে আসবে তাঁর ব্যাটিংয়ে। ০, ৭, ৮, ০, ৯ ও ৪—সর্বশেষ ৬ ইনিংসে দলের একজন টপ অর্ডার ব্যাটারের রান ২৮। যিনি আর দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি। বড় মঞ্চে চাপের মধ্যে অসাধারণ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে শান্তর ব্যাটিং-সামর্থ্য নিয়েই এখন প্রশ্ন। এত দারুণ ছন্দে থেকেও যিনি এভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থ হতে থাকেন, তাঁকে আর যা-ই হোক, বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বলা যায় না!