জাতীয় পুনর্জাগরণ ও জাসদ

সমকাল হাসানুল হক ইনু প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১২

আমাদের দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয় দেশবাসী এবং দলের অতীত ও বর্তমানের সর্বস্তরের উপদেষ্টা-নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


সুমহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্য সামনে রেখে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদের জন্ম হয়েছিল। বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনাকারী, সংগঠক ও রণাঙ্গনের সামনের কাতারের যোদ্ধারা গঠন করেছিলেন জাসদ। সে জন্য জাসদ শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নয়; জাসদ মুক্তিযোদ্ধার দল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাসদের কাছে শুধু কোনো স্লোগান নয়; কোনো বায়বীয় আদর্শ নয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত জাসদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজি ও দলীয়করণ থেকে মুক্তি, সুশাসন কায়েম; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, আরও গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র, জনগণের স্বশাসন; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তি– সমাজতন্ত্র কায়েম।


সে জন্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে জাসদ আপসহীন। ক্ষমতায় একবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার দল বা জোট, আরেকবার রাজাকার ও তালেবানের দল বা জোট– স্বাধীন দেশে রাজনীতিতে এই ‘মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা’ চলতে পারে না। জাসদ মনে করে, বাংলাদেশের ক্ষমতায় ও ক্ষমতার বাইরে সর্বত্র থাকতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, স্বাধীনতা নিয়ে, বাংলাদেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো দরকষাকষি চলতে পারে না।


মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার দলের মধ্যে অনৈক্যের ফলে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী সামরিক-বেসামরিক, অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট শক্তি বাংলাদেশের সমাজ-অর্থনীতি-সংস্কৃতি সবকিছুর সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করতে ধর্মকে ব্যবহার করেছে; ভেদ-বিভেদ-বৈষম্য-সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us