২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে ব্যাটালিয়ন আনসার সংশোধনী অ্যাক্ট-২০২৩ উত্থাপিত হয়েছে। আমার খসড়া আইনটি দেখার সুযোগ হয়নি। তবে বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে যা জানতে পেরেছি তার ওপর ভিত্তি করেই এ লেখা। জানা যায় এ সংশোধনী আইনের ৮ ধারায় ব্যাটালিয়ন আনসারকে গ্রেফতার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দেওয়ার বিধান আছে। সংসদে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা এ বিধানের বিরোধিতা করে আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। ব্যাটালিয়ন আনসারকে পুলিশের ক্ষমতা অর্থাৎ গ্রেফতার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দিলে কি নেতিবাচক ফলাফল হবে তা উল্লেখ করে তারা উত্থাপিত আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংসদে বিরোধীদল ছাড়াও পুলিশ বাহিনীর মধ্যেও চরম অসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিসিএস পুলিশ অফিসারদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ও নন-ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের সদস্যনরা পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। আনসারকে গ্রেফতার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দিলে মাঠ পর্যায়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হবে ইত্যাদি বিষয়ে তারা যুক্তি তুলে ধরেন।
জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ব্যাটালিয়ন আনসারকে গ্রেফতার ও তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় জনমনে কয়েকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা হলো-
১. কি কারণে ব্যাটালিয়ন আনসারকে এ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে?
২. কার প্রয়োজনে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে? এতে কি রাষ্ট্র ও জনগণের কোনো স্বার্থ আছে?
৩. পুলিশের ক্ষমতার কোনো ঘাটতির জন্য কি এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে?
৪. ব্যাটালিয়ন আনসারকে এ ক্ষমতা দিলে সমাজে কি পরিবর্তন আসতে পারে?
৫. পুলিশ কেন আনসারকে গেফতার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দেওয়ার বিরোধিতা করছে?
৬. কি কারণে ব্যাটালিয়ন আনসারকে এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে?