কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি যাত্রীবাহীকে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মালবাহী ট্রেনের চালকের ভুলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে প্ল্যাটফরম থেকে ডাউন লাইনে ঢাকা যাওয়ার গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। সিগন্যাল দেখে চালক ট্রেনটির যাত্রা শুরু করেন। এ সময় আপলাইনে আসা মালবাহী ট্রেনটির ভৈরব স্টেশনে প্রবেশের সিগন্যাল না থাকা সত্ত্বেও চালক স্টেশনে প্রবেশের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের কয়েকটি বগিতে ধাক্কা দেন।
এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দায়ী প্রমাণিত হওয়ায় মালবাহী ট্রেনের চালক ও গার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দুটি ট্রেনের চালক, স্টেশন মাস্টার, কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন উধাও হয়ে গেলেন, এর তদন্ত হওয়া দরকার। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এবং ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১১টার দিকে এ রুটে আংশিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়।