বাদামি রঙা জামা-জুতার সঙ্গে সাদা প্যান্ট,মাথায় টুপি, গ্রীষ্মে বাদামি হাতমোজা আর শীতে সাদা। তার সঙ্গে বুকের ডান পাশে গোলাকৃতির ঘড়ি দেখলেই চেনা যায় একজন নরল্যান্ড ন্যানিকে। সাধারণ ন্যানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নরল্যান্ড ন্যানিরা। কারণ, তাঁরা পেশাজীবী ন্যানির দায়িত্ব পালন করার জন্য পড়াশোনা করেন স্নাতক পর্যায়ে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা একজন নরল্যান্ড কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা ন্যানির। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে নরল্যান্ড ন্যানিকে অর্থবিত্তের প্রতীকও বলা চলে। কারও ঘরে নরল্যান্ড ন্যানি থাকলে এটা বাকিরা বুঝে নেন যে পরিবারটি সমাজের উঁচু শ্রেণিতে অবস্থান করে। নরল্যান্ড কলেজ থেকে প্রতিবছর মাত্র ১০০ জন গ্র্যাজুয়েট বের হন। কাজেই রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায় তাঁদের নিয়ে। প্রত্যেকের জন্য অন্তত ১৪টি কাজের সুযোগ থাকে!