বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেভাবে একের পর এক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আশঙ্কা রয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের পরপর অর্থনীতি ‘মেল্টডাউন’-এর গিরিখাতে পড়তে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত ভালো। তাঁর দাবি, যারা অর্থনীতিতে সমস্যার কথা বলে, তারা অর্থনীতি জানে না। এ রকম ‘গাজোয়ারি’ কথা বলে হয়তো তিনি অর্থনীতির সাম্প্রতিক সংকটকে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। অনস্বীকার্য সত্য হলো, দেড় বছর ধরে অর্থনীতি মারাত্মক সংকটে নিমজ্জমান। সংকটগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখুন:
১. ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো রিপোর্ট করেছে, আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ‘গ্রস রিজার্ভ’ ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এহেন পতনের ধারা অব্যাহত থাকলে রিজার্ভ শূন্যেও নেমে আসতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত পতনের যে ধারা আমাদের অর্থনীতিকে চরম টালমাটাল অবস্থায় নিয়ে গেছে, তা সামাল দিতে পারছে না সরকার। প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রয় করতে হচ্ছে। রিজার্ভের এহেন পতনের ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে অর্থনীতি ‘মেল্টডাউন’-এর পরিস্থিতিতে পড়বে।