ঢাকায় ‘টার্ন টেবিল’ নষ্ট থাকায় ট্রেনের ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ ঘোরানো যায় না; আর এতে ইঞ্জিনগুলোকে উল্টো করেই ট্রেন চালাতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ কারণে দীর্ঘ পথে ট্রেন চালানোর সময় ‘সিগন্যাল ও লেভেল ক্রসিং’ দেখতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যে চলতে হচ্ছে, সে কথা জানিয়ে রোববারই ঢাকার বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছিল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
পরদিনই কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহানি পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ঘটনার সময় কনটেইনার ট্রেনটির ইঞ্জিন উল্টো দিকেই চলছিল।
সোমবার ভৈরবে দুর্ঘটনায় পড়া ৩০২৮ লোকোমোটিভটি (ইঞ্জিন) ৩২টি কন্টেইনারবাহী বগি নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। বিকাল পৌনে ৪টায় ভৈরব স্টেশনের আউটারে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের তিনটি বগিতে ধাক্কা দেয় কনটেইনারবাহী ট্রেনটি।
রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, ভৈরব আউটারে সিগন্যাল দেওয়া ছিল, কনটেইনারবাহী লোকোটির সেখানে থেমে অপেক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু কনটেইনার ট্রেনটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরা সিগন্যাল অমান্য করে মূল লাইনে উঠতে গিয়ে এগার সিন্ধুর ট্রেনটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।